আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত ফর্ম ফিলাপ করুন:

    দেশের আমদানি নির্ভর প্রসাধনী পণ্যের বাজার বদলে দিতে এসেছে হারল্যান নিউইয়র্ক। প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাজারে আরো বৃহৎ পরিসরে বাজারজাতকরণের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক বাজারে পন্য বিক্রয়ের জন্য ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। হারল্যান বিশ্বমানের আমেরিকান ব্র্যান্ড এর পণ্য আমদানী ও উৎপাদন করছে। এই লক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় স্কিন গবেষনা কেন্দ্রসহ একটি পরিপূর্ণ কসমেটিকস তথা প্রসাধনী শিল্পকারখানা গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে।

    হারল্যান নিউ ইয়র্ক, একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর পরিবেশবান্ধব কারখানা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটি নিওর, ব্লেইজ ও স্কিন, সিওডিল, হারল্যান, লিলি, অরিক্স, সানবিট, টাইলক্স, একনল, ক্যাডোটিন, এলেন ভেনেজিয়া, লিটল ওয়ান ব্র্যান্ডের সব ধরনের পণ্য বিপণনের কার্যক্রম শুরু করেছে। কারখানার সক্ষমতার পুরোটা ব্যবহার করতে ২০২৫ সাল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ কারখানায় বাংলাদেশের আবহাওয়ায় মানুষের ত্বকের ধরন ও চাহিদা অনুযায়ী পণ্য তৈরীর পাশাপাশি ইউরোপ আমেরিকায় পণ্য উৎপাদন করে দেশের বাজারে নিয়ে আসবে হারল্যান নিউইয়র্ক।

    নতুন এ কারখানায় ৮ থেকে ১০ হাজার লোকের সরাসরি কর্মসংস্থান হবে। দেশব্যাপী একটি শক্তিশালী সরবরাহ ও বিপণন ব্যবস্থা গড়ে তোলা হচ্ছে। এজন্য সারা দেশে ফ্রাঞ্চাইজির ভিত্তিতে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কাজ করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে আরও প্রায় লক্ষাধিক লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরী হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

    কসমেটিকসের বর্তমান বাজারে মানসম্মত ও নির্ভেজাল পণ্য খুবই জরুরী। বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি ঘটেছে ফলে সময়ের তাগিদেই মানুষ এখন মানসম্মত পণ্যের দিকে ঝুঁকছে। সেই তাগিদ থেকেই বাংলাদেশে হারল্যান নিউইয়র্ক ব্যাপক পরিসরে ধাপে ধাপে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রতিষ্ঠানটি জনগণের দোরগোড়ায় মানসম্মত কসমেটিকস হোমকেয়ার, পারসোনাল কেয়ার পণ্যসামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

    ইউরোপ আমেরিকার স্থাপিত ল্যাবরেটরিতে এই পণ্যের গুগত মান উন্নয়নের জন্য গবেষণা করে বাংলাদেশের স্থাপিত কারখানায় পণ্যের গুণগত মান ঠিক রেখে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে।

    বাংলাদেশে কসমেটিকস এর বাজারের আকার এখন ১০ থেকে ১২ হাজার কোটি টাকা, যার পুরোটাই বলতে গেলে আমদানি নির্ভরশীল। দেশে ভেজাল ও নকল কসমেটিকস এর ছড়াছড়ি তো আছেই। এর আগে কসমেটিক শিল্পে এতবড় বিনিয়োগ আসেনি।

    দেশব্যাপী পণ্য বিপণনের জন্য “হারল্যান নিউইয়র্ক” ফ্র্যাঞ্চাইজিতে বিনিয়োগের আমন্ত্রন জানাচ্ছে।

    ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিসট্রিবিউটরশিপ নীতিমালা

    পণ্যের ধরন:- কালার কসমেটিকস, স্কিন কেয়ার, হোম এন্ড পারসোনাল কেয়ার এবং কোম্পানি কর্তৃক প্রদত্ত যেকোন পণ্য।

    শর্ত সমূহ

    • নিজ মালিকানাধীন অথবা ভাড়া করা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শো-রুম থাকতে হবে।
    • শো-রুম এর আয়তন, অবস্থান এবং ডিজাইন কোম্পানি দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে।
    • শো-রুমের সকল প্রকার ডেকোরেশন নিজ খরচ এ কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী সম্পাদন করতে হবে।
    • শো-রুম এর যাবতীয় খরচ বহন করতে হবে।
    • কোম্পানি প্রদানকৃত পণ্য ব্যতীত অন্য কোন পণ্য শো-রুমে প্রদর্শন বা বিক্রি করা যাবে না।
    • কোম্পানির সকল প্রকার নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে এবং কোম্পানির প্রতিনিধি দ্বারা শো-রুম পরিচালিত হবে।
    • সকল প্রকার পণ্যের যাবতীয় রক্ষণাবেক্ষণ এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
    • শো-রুমের পণ্য বিক্রয়ের অর্থ নিয়মিত ভাবে বা সর্বোচ্চ (০৬) কর্ম দিবসের মধ্যে কোম্পানির ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে।
    • ডিস্ট্রিবিউটর যদি ব্যবসা করতে না চায় তবে কোম্পানিকে কমপক্ষে তিন (০৩) মাস পূর্বে লিখিতভাবে অবগত করতে হবে। ডিস্ট্রিবিউটর যদি কোম্পানি প্রদত্ত কোন নীতিমালা ভঙ্গ করে বা মানতে অপারগ হয় তাহলে কোম্পানি তার নীতিমালা অনুসারে নোটিশ প্রদান পূর্বক যেকোনো সময় ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বাতিল করতে পারবে।
    • ‘MICR চেক প্রদান ও ডিড সম্পাদন করতে হবে।

    সুবিধা সমূহ

    • কোম্পানির মূল্য তালিকায় নির্ধারিত DP মূল্যে পণ্য সরবারহ করা হবে।
    • শো-রুমের পণ্য বিক্রির জন্য ক্ষেত্রবিশেষে নীতিমালা অনুযায়ী কোম্পানি থেকে প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত এক বা একাধিক বিজনেস প্রমোটর দেওয়া হবে এবং
    • ডিসট্রিবিউটরের নিজস্ব বিক্রয়কর্মীকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে।
    • সকল প্রকার ব্র্যান্ডিং উপকরণ (যেমন-সাইনবোর্ড, ব্যানার, ফেস্টুন, লিফলেট ইত্যাদি) কোম্পানি প্রদান করবে।
    • কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে প্রযুক্তিগত অন্যান্য সহায়তা প্রদান করা হবে।
    • শো-রুমে প্রদর্শন, মজুদ ও বিক্রয়ের জন্য সকল প্রকার পণ্য অর্ডার অনুযায়ী কোম্পানি তার নিজ দায়িত্বে শো-রুমে পৌঁছে দিবে অথবা ডিস্ট্রিবিউটর যদি তার নিজস্ব পরিবহনে কোম্পানি থেকে পণ্য নেয় তাহলে কোম্পানি তার নীতিমালা অনুযায়ী পরিবহন খরচ ডিস্ট্রিবিউটরের হিসাবে সমন্বয় করবে।

     

    ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিস্ট্রিবিউটর নীতিমালা

    প্লাটিনাম ফ্র্যাঞ্চাইজি

    • ন্যূনতম (১০) দশ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
    • বাৎসরিক কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ৩% হারে ছাড় দেয়া হবে। (শর্ত প্রযোজ্য)
    • মাসিক কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ৩% হারে অনুমোদিত লোকাল বিজ্ঞাপন এর প্রয়োজনীয় খরচ কোম্পানি প্রদান করবে, তবে সেক্ষেত্রে খরচের যথাযথ ভাউচার সংযুক্ত করে বিল প্রদান করতে হবে।

    ডায়মন্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি:

    • ন্যূনতম (০৭) সাত লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
    • বাৎসরিক কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ২% হারে ছাড় দেয়া হবে। (শর্ত প্রযোজ্য)
    • মাসিক কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ২.৫% হারে অনুমোদিত লোকাল বিজ্ঞাপন এর প্রয়োজনীয় খরচ কোম্পানি প্রদান করবে, তবে সেক্ষেত্রে খরচের যথাযথ ডাউচার সংযুক্ত করে বিল প্রদান করতে হবে।

    গোল্ড ফ্র্যাঞ্চাইজি:

    • ন্যূনতম (০৫) পাঁচ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
    • বাৎসরিক কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ১% হারে ছাড় দেয়া হবে। (শর্ত প্রযোজ্য)
    • মাসিক কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ২% হারে অনুমোদিত লোকাল বিজ্ঞাপন এর প্রয়োজনীয় খরচ কোম্পানি প্রদান করবে, তবে সেক্ষেত্রে খরচের যথাযথ ভাউচার সংযুক্ত করে বিল প্রদান করতে হবে।

    সিলভার ফ্র্যাঞ্চাইজি:

    • ন্যূনতম (০৩) তিন লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করতে হবে।
    • মাসিক বিক্রয়/কালেকশনের উপর সর্বোচ্চ ১.৫% হারে অনুমোদিত লোকাল বিজ্ঞাপন এর প্রয়োজনীয় খরচ কোম্পানি প্রদান করবে, তবে সেক্ষেত্রে খরচের যথাযথ ভাউচার সংযুক্ত করে বিল প্রদান করতে হবে।

    বিদেশ ভ্রমণ:

    • বাৎসরিক (১২মাস) ন্যূনতম ১ কোটি টাকার কালেকশন প্রদান করলে সর্বোচ্চ ২(দুই) জনকে ভ্রমণ করানো হবে। • বাৎসরিক (১২মাস) ন্যূনতম ৭৫ লক্ষ টাকার কালেকশন প্রদান করলে সর্বোচ্চ ১ (এক) জনকে ভ্রমণ করানো হবে।

     

    কক্সবাজার ভ্রমণ:

    • বাৎসরিক (১২মাস) ন্যূনতম ৫০ লক্ষ টাকার কালেকশন প্রদান করলে সর্বোচ্চ ১ (এক) জনকে ভ্রমণ করানো হবে।

    বিঃ দ্রঃ কোম্পানি এই নীতিমালা যে কোন সময় সংশোধন বা পরিবর্তন করতে পারবে